মারুফ সরকার :
বিশ্বে অনেক অদ্ভুত ঘটনা রয়েছে যেমন, তেমনি অদ্ভুত স্থানও রয়েছে। নানা কারণে এর বিশেষত্ব রয়েছে। মানুষ এক অজানা কারণেই হয়তো এরকম করে থাকেন। এ রকম এক অদ্ভুত জায়গা। এখানে এলেই মেয়েরা তাদের ব্রা (অন্তর্বাস) খুলে দেন। কেন এই আজব রীতি?
সারা পৃথিবীর নানা জায়গায় নানা আজব আজব প্রথা থাকে। তার কোনও কোনওটি এতোই অদ্ভুত, প্রথমটায় বিশ্বাসও করতে চান না অনেকে। এমনই একটি ঘটনা হলো, এই অন্তর্বাস খুলে ফেলার ঘটনাটি। বাস্তবে সত্যিই আছে এমন এখ জায়গা, যেখানে গেলেই মহিলারা নিজেদের অন্তর্বাস খুলে ফেলেন। কিন্তু কেন?
এই জায়গাটি নিউজিল্যান্ডের করডোনায়। এখানে প্রকৃতির মাঝে রয়েছে এমনই একটি জায়গা, যেখানে পৌঁছেই মহিলারা খুলে ফেলেন নিজেদের অন্তর্বাস। শেষে জায়গাটি এমন হয়েছে, যে সেখানে অন্তর্বাসের (ব্রায়ের) পাঁচিল তৈরি হয়ে গেছে।
খুবই অদ্ভুত এই জায়গায় কথা খবরে আসে কয়েক বছর আগে। দেখা যায়, সেখানে কোনও মহিলা পর্যটক গেলেই, তারা নিজেদের ব্রা খুলে ফেলছেন, এবং সেটি টাঙিয়ে দিচ্ছেন একটি বেড়ার উপর। অনেকে সেই বেড়ার সামনে ছবিও তোলেন। শেষ পর্যন্ত এটি একটি আগ্রহের স্থানে পরিণত হয়েছে।
এমনকী এই জায়গা থেকে অন্তর্বাস চুরিও হয়। শোনা যায়, ওখান থেকে অন্তর্বাস চুরি করাটাও নাকি একটি রেওয়াজের মধ্যে পড়ে। অনেকের ধারণা, ওখান থেকে ব্রা চুরি করতে পারলে, তা শুভ বলে প্রমাণিত হয়।
কিন্তু এর পরেও ওই পাঁচিলের উপর বাড়ছে অন্তর্বাসের সংখ্যা। কারণ নিজেদের অন্তর্বাস ওই পাঁচিলে রেখে আসাটা বহু মহিলার কাছেই অত্যন্ত মজার। কেউ কেউ মনে করেন সেটি সৌভাগ্যেরও। কিন্তু কী করে শুরু হল এই রেওয়াজ?
শোনা যায়, ওই বিশেষ বেড়াটির উপরে নাকি এক সময়ে দেখা গিয়েছিল পাশাপাশি শুকোচ্ছে চারটি ব্রা। সেগুলি কোথা থেকে এলো, কাদের ব্রা সেগুলি— কোনও উত্তর পাওয়ার আগেই ওখানে উপস্থিত কয়েক জন মহিলা পর্যটক মজা করে নিজেদের ব্রা তার পাশে ঝুলিয়ে দেন। ব্যস, সেই থেকেই চলছে এই রীতি।
এই বিশেষ জায়গাটির আগে অন্য নাম ছিল। কিন্তু এই অদ্ভুত রেওয়াজের সূত্রে ব্রা শব্দের সঙ্গে করডোনা মিশিয়ে জায়গাটির এখন নাম হয়ে গিয়েছে ব্রাডোনা। নিউজিল্যান্ডে যাওয়া বহু পর্যটকের কাছেই এটি এখন আকর্ষনীয় স্থান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।